মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের বিলঝলমল গ্রামের ৩০০ মিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ। বছরজুড়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনসাধারণকে নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইদ্রিস দফাদারের বাড়ি থেকে মফিজ মোল্লার বাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত ওই কাঁচা রাস্তাটি ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে রাস্তাটি ধুলোয় ঢেকে যায়, আর বর্ষাকালে পরিণত হয় কাদা-পানির সাগরে। এতে পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহন চলাচলকারীরা চরম সমস্যায় পড়েন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী ও সাধারণ মানুষ বছরের সব সময়ই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কৃষকরা মাঠের ফসল বাজারে নিতে হিমশিম খান। ভ্যান, নছিমন ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে না চাওয়ায় ব্যয় বাড়ে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিলঝলমল গ্রামের ব্যবসায়ী মো. সামাদ মিয়া বলেন, “কাঁচা রাস্তার কারণে আমরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পারি না। যানবাহন আসতে চায় না, আর আসলেও ভাড়া বেশি নেয়। অনেক সময় মালসহ ভ্যান বা নছিমন উল্টে যায়।”
সোনাপুর গ্রামের সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, “রাস্তার খানাখন্দের কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনা। বর্ষাকালে বাড়িতে ফিরতেও কষ্ট হয়। অসুস্থ রোগীদের উপজেলা সদর বা জেলা হাসপাতালে নিতে গিয়ে আরও বিপাকে পড়তে হয়।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটির দুই পাশে রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, এতিমখানা এবং বিভিন্ন সামাজিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত রাস্তাটিকে ইটের ফ্ল্যাট সলিং করা হলে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ স্থায়ীভাবে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি—অতি শিগগির রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ।