1. weeklyekusheynews@info.com : mcc :
  2. info@www.weeklyekusheynews.com : সাপ্তাহিক একুশে নিউজ :
বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
মহম্মদপুরে বিলঝলমল কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ সিলেট রেঞ্জ কার্যালয়ে জুলাই/২০২৫খ্রি. মাসের অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত এলজিআরডির অর্থায়ন, টেন্ডারবিহীন কাজ ,সাধারণ মানুষের জমি—জটিলতার কেন্দ্রবিন্দুতে মসজিদ কমিটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে ট্রমা বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৮জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ শরীয়তপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক আব্দুল ঢালী ও সদস্য সচিব মোস্তফা ৫০০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে বংশাল থানা পুলিশ কারওয়ান বাজারে পুলিশের এডিসিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অতিরিক্ত আইজিপিসহ পুলিশের ৫২ পদে বদলি-পদায়ন ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২৫১১ মামলা

নীরব আলোচনার কেন্দ্রে ভাংগার খাটরা গ্রাম ! মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
  • Update Time : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৮ Time View

গত প্রায় চার পাঁচ দিন যাবত ফরিদপুর জেলার, ভাংঙা উপজেলার,কাউলিবেড়া ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের কবরস্থানের নামে জায়গা দখল – কাগজ পত্র জালজালিয়াতি – ভূক্তোভূগিকে ভয় ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল তো বটেই বিষয়টি নিয়ে জনমনে অনেকের কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে ।ফরিদপুর ,মাদারিপুর,শিবচরের অনেকেই ঘটনাটি জানতে বেশ আগ্রহী।
মূল ঘটনার সূত্রপাত, অত্র অঞ্চলের কৃতি সন্তান, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব চৌধুরী এম এ হামিদ,তাঁর নিজ জন্মভূমি খাটরা।তাঁর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৪৩ শতক জমি তার ওয়ারশিদের সকলের নামে মাঠ পর্চা বি আর এস জরিপে লিপিবদ্ধ হয়।
জমিটি মাইঝাইল মৌজায়।মাইঝাইল মৌজার এস এ খতিয়ান ১৩৭,আর এস খতিয়ান ১৯৫ এবং বি আর এস জরিপে কাগজ পত্র ত্রুটিপূর্ণ না থাকায় চৌধুরী এম এ হামিদের সম্পদ হিসেবে ওয়ারিশদের নামে উক্ত জমি জরিপে লিপিবদ্ধ সম্পন্ন হয়।
বিপত্তির শুরু চৌধুরী এম এ হামিদের মৃত্যুর পর, তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই রশীদ ওরফে বাদশা মিয়া, কিছু অসাধু ও লোভী ভূমির দালাল, খচ্চর শ্রেণির প্ররোচনায়, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে এস.এ. খতিয়ান অনুযায়ী দখলের উদ্দেশ্য অর্ধেক জমি নিজের দাবী করে জনৈক ইউনুস মাতুব্বরের কাছে বিক্রি করে দেন।

এই বিষয়ে ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য ফয়সাল রাজু সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন এস এ অনুযায়ী ৪৩ শতক জমির মধ্যে রশিদ ওরফে বাদশা ২১.৫ শতক জায়গা বিক্রি করেছেন তা আইনত সঠিক হয়নি আবার অর্পণ নামাও সঠিক হয়নি এবং চতুর দলাল ওমর আলির প্ররেচনায় সামাদ মিয়া (মৃত) যার মধ্যস্ততায় ওয়াকফর নামে কৌশলে অবশিষ্ট ২১.৫ শতক চৌধুরী হামিদের পরিবারের ২/৩ জন সদস্যদের দিয়ে যে সাফ কাবলা এস এ, আর এস অনুযায়ী করিয়ে নেওয়া হয় তাও আইনত সঠিক নয়।কারন এস এ এবং আর এস অনুযায়ী উক্ত জমিতে চৌধুরী এম এ হামিদের একমাত্র বোন আছমাতুন্নেছার অংশ সহ তারা কবলা করান যা আইন অনুযায়ী সঠিক নয়।কারন বোনের অংশ বৈমাত্রেয় ভাই কোন ভাবেই বিক্রি ও অপর্ন করতে পারেন না এবং অন্য ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরাও তাদের ফুফুর হিস্যাও দান সাফ কাবলা করতে পারেন না।ইসলাম এবিষয়ে খুবই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সবচেয়ে আশ্চর্য জনক বিষয় হলো ঘটনাটি ১৯৯৯ – ২০০৩ সালের। উক্ত মৌজায় বি আর এস জরিপ চলাকালীন জরিপকারীগন রশিদ ওরফে বাদশার বক্তব্য ও কাগজ পত্র অর্থাৎ বন্টননামা দেখেন এবং এলাকবাসিও উক্ত ভূমি চৌধুরী এম এ হামিদের অংশ বলে জানালে ভূমি জরিপকারী গন ৪৩ শতক জমিই লিপিবদ্ধ করেন এবং কারো আপত্তি থাকলে তা লিখিত আকারে ভূমি অফিসে জানাতে বলেন।গ্রামের মুরুব্বি শ্রেণির কেউ কিন্তু উক্ত জমি কবরস্থান বলে কোথাও বলেন নাই ।সাইজুদ্দিন চৌধুরীর বৈধ্য ওয়ারিশ হিসাবে সে সময়ে রশিদ ওরফে বাদশা (মৃত ২০১২ পর) ও আছমতুন্নেছা (মৃত ২০১২) জীবিত এবং তারা উভয়ই অথবা এলাকাবাসী কোন লিখিত আপত্তি না জানালে ভূমিটি নাল জমি হিসেবে চৌধুরী এম এ হামিদ এর সম্পদ হিসেবে বৈধতা পায় এবং বাৎসরিক খাজনাদি সরকারের নিয়ম মেনেই যথারীতি পরিশোধ হতে থাকে।এক্ষেত্রে একটা বিষয় পরিস্কার হয় চৌধুরী এম এ হামিদ তার একমাত্র বোন ও বৈমাত্রেয় ভাইয়ের সাথে ওয়ারিশ বন্টন সম্পন করেছিলেন।এছাড়াও রশিদ ওরফে বাদশার নিজ স্বাক্ষরিত এক কাগজে উক্ত বন্টনের সাল,মাস ও তারিখ উল্লেখ আছে।

ফয়সাল রাজু আরও বলেন, কবরস্থানের নামে দখলবাজি এবং দখলকৃত জায়গার কাগজ পত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতি তিনিই প্রথম ধরতে পারেন।

গোজামিলের ওয়াকফনামায় তার পিতা মরহুম শাহ আলম চৌধুরী স্বাক্ষর সহ চৌধুরী পরিবারের আরও তিন সদস্য স্বাক্ষর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্বাক্ষরটি শাহ আলম চৌধুরী স্বেচ্ছায় করেননি বরং তাকে দিয়ে এক প্রকার জোড় করে,ধমক ও মানসকি চাপ সৃষ্টি করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে।মরহুম শাহ আলম চৌধুরী তার বৈমাত্রেয় চার বোনের অংশ তাদের লিখিত অনাপত্তি ছাড়া অসম্পূর্ণ ওয়াকফনামা সাফকাবলা করে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন,কিন্তু চাপ প্রয়োগের কারনে তিনি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।উক্ত হলফ নামায় সনাক্তকারী হিসেবে মালয়শিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভয়ংকর,দালাল,বাটপার ওমর আলিও স্বাক্ষর করেন।
গ্রামের সকলেই জানেন চৌধুরী শাহ আলম শান্ত,সরল,প্রকৃতির সহজ জীবন যাপন করা একজন সাধারণ মানুষ।তার অনেক বিত্ত বৈভব ছিল না,কিন্ত তিনি একজন আদর্শবান,নীতিবান মানুষ ছিলেন।ফয়সাল রাজু আরও বলেন,আমার পিতার উপর বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে যাদের অমানুষিক চাপ প্রয়োগে চোখের অশ্রু ঝরছে সেই অশ্রু সন্তান হিসেবে আমরা আমাদের হৃদয়ে মুক্তা দানার মতো সাজিয়ে রেখেছি।ঐ অশ্রুগুলো অমানুষের মতো আমরা তাদের ফিরিয়ে দিতে চাই না।তবে এখন থেকে মসজিদ কমিটির সহায়তা নেওয়া ওমর আলি গং সহ ফ্যাসাদ সৃস্টিকারীদের আর কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
ফয়সাল রাজু আরও বলেন আমার পিতা শাহ আলম চৌধুরীকে দিয়ে জোর পূর্বক করানো কাজটি সম্পূর্ণ ভূল,ক্রুটিপূর্ণ এবং তা সংশোধন অবশ্যই হতে হবে।এছাড়াও জোড় পূর্বক দখল করে রাখা শাহ আলম চৌধুরীর ওয়ারিশ হিসেবে ন্যায্য হিস্যার আনুমানিক ৮.৮ শতক জমি মসজিদ কমিটির সহায়তায় কবরস্থানের নামে দখল করে রাখা ওমর আলি গংরা আমাদের অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে বাধ্য ।

ফয়সাল রাজু আরও বলেন,যে অন্য ২/৩ জন ওয়ারিশ যারা সাফকাবলা ওয়াকফ করেছেন,তারা ন্যায্য ভাবে উক্ত জমি ওয়াকফ করে থাকলে তার স্বপক্ষে ২০০৩ সালের তাদের ফুফু ও বোন এর দেওয়া না-দাবী বা এওয়োজ বদল বা বন্টননামা সহ সঠিক কাগজ পত্র গ্রামবাসীর সামনে প্রদর্শন করুক।

কবরস্থান কমিটির সেক্রেটারি মাসুদ মিয়া জানান, সাফকাবলার ৩য় নং দাতার সাথে ওয়াকফর বিষয়ে তিনি কথা বলেছিলেন এবং কবরস্হান এর নামে তাদের পরিবার থেকে নতুন করে ওয়াকফ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন,কিন্তু তারা আপাতত বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হতে ইচ্ছুক নয় বলে জানিয়ে দিয়ে বলেছেন, তাদের বিদেশে অবস্থানরত অন্য ২/১ একজনের ওয়ারিশ এর নাগরিক স্মার্ট কার্ড আবেদন করার প্রক্রিয়া চলমান।
মাসুদ মিয়া আরও বলেন,দখলকৃত জমিটি বৈধভাবে কবরস্থান হয়েছে সে ধরনের কোন কাগজ পত্র তাদের কাছে নেই।তার মতে বেশির ভাগ কাগজ পত্রই গোজামিল ও জালিয়াতির কিছু উপযুক্ত তথ্য বর্তমান আছে।মসজিদ কমিটির স্বেচ্ছাচারিতায় কারনেই এই গোজামিল,জালিয়াতি ও জটিলতার সূত্রপাত হয়েছে বলে মাসুদ মিয়া মনে করেন।
যে কেউ চাইলেই একটা অন্যায়, অন্যায্য এবং ওয়ারিশ হক সংক্রান্ত বিষয়ে কবরস্থানের নাম করে দিয়ে বৈধতা দিয়ে দিতে পারেন না।আর মৌখিক দান বর্তমান সমাজে এর কোন ভিত্তি নেই। কারন অনেক হাজীও হজ্জ করে এসেও তার কথায় কায়েম থাকতে পারে না।আর শত টাকা মূল্যের স্টাম্পও মূল্যহীন কাগজ মাত্র ।
এস,এ, আর এস, বি আর এস কোথাও উক্ত জমি কবরস্থানের নামে উল্লেখ নেই বা ছিল না।তাইতো গোজামিলের কাগজে কবরস্হানের নাম দিয়ে ওরম আলি গং সহ মসজিদ কমিটির কেউই ভূমি অফিস থেকে নামজারি করাতে সক্ষম হয়নি।ঐ চক্র মসজিদ কমিটির নামে অন্যের হক লুন্ঠন করতে চেয়েছিল,আল্লাহর রহমতে তারা পরাস্ত হয়েছে নৈতিক,চারিত্রিক ও আদর্শিকভাবে । ইনশাআল্লাহ এবারও তারা আবার পরাস্ত হবে।

একজন আইন বিশেষজ্ঞের কাছে উক্ত বিষয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হলে তিনি বলেন,দানের বিষয় হতে হয় স্বচ্ছ ও আল্লাহর নামে।মসজিদ – মাদ্রাসায় জমিজমা কারো হক বর্তমান রেখে দান হয় না এবং বিষয়টি দানের মধ্যেও পরে না।আর চাপ প্রয়োগ করে দান লিখিয়ে নেওয়া অন্যায় তো বটেই যদি তা হয়ে থাকে ।বিষয়টি একদর হঠকারিতার মতো,এস এ অনুযায়ী ওয়ারিশ দাবি করে বিক্রি করা।আবার সেই ওয়ারিশই মাঠ জরিপে কাগজ পত্র দেখিয়ে জমিটি তার ভাই এর বলে লিপিবদ্ধ করান।মাঠ জরিপ তো অনেক বড় একটা বিষয়।কেউ চাইলই জরিপকারীগন যার ইচ্ছা তার নাম লিপিবদ্ধ করতে পারেন না।ভূমি জরিপে সরকারকতৃক নির্দিষ্ট মানদণ্ড জরিপকারীদের অনুসরণ করতে হয়।এখানে একটি নির্দিষ্ট পক্ষ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।

ফয়সাল রাজু আরও জানান তাকে নানা ভাবে ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।সরকারি বড় অফিসের এক কর্মকর্তা দখল নামক ঐ অন্যায্য বিষয়কে ন্যায্যতার নাম দেওয়ার মিশনে নেমেছেন।ফয়সাল রাজু বলেন,উনি মস্ত বড় মহাশয় জ্ঞানি মানুষ হয়ে এটা কেন বুঝতে চেষ্টা করছেন না,ওয়ারিশদের হক যথাযথ আদায় না করলে, সেই দান আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।সরকারি চেয়ার বসলেই ন্যায় অন্যায়,বোধ বিচার অনেক কিছুই হয়ত থাকে না নতুবা লোপ পায়।তিনি হয়ত জানেন না,হাত ঘষতে ঘষতে হাতের তালুতে কিন্তু লোম গজায় না,কিন্তু সরকারি বিভিন্ন অফিসে একবার তলব হলে এই অফিস সেই অফিস ঘুরতে ঘুরতে জুতার তলি ক্ষয় হয়ে যায়। আমরা যথাযথ কতৃপক্ষ বরাবর দরখাস্ত দিতে চাই না।তাই উনি অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে তা সমাধানে এগিয়ে না এসে ,থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না।অমুক-তমুকের কাছে ধর্ণা ধরে খুব বেশি লাভ হবে না।তারাও নৈতিক ভাবে পরাস্ত হবে ইনশাল্লাহ।

ফয়সাল রাজু বলেন,কারো চোখ রাঙানিতে আমি পিছু হটবো না। তিনি তার ন্যায্য ৮.৮ শতক আনুমানিক জমি ফেরত চান।তিনি আরও বলেন,আমি গ্রামে ন্যায়ের পক্ষে
অবস্থান নিয়েছি, ২৬ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে চলছে দখল,অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারতা,দূর্নীতি,ন্যায্য হক নষ্ট সহ অনেক অনিয়ম।কিন্তু সমাজ সেবার নামে যারা অন্যায় প্রশ্রয় দেয়,দূর্নীতিতে নিমজ্জিত হয় তাদের মুখোশ সমাজের সামনে অবশ্যই একদিন উন্মোচিত হবে ইনশাল্লাহ।আর যারা ওয়ারিশের সম্পদের ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে পারে না বা এখনও পারে নাই এবং যাদের অসহযোগিতায় সম্পদের ন্যায্য হিস্যা ওয়ারিশ বুঝে পায় না তাদের মুখে নীতি কথা,হক কথা মানায় না।তাদের ধিক্কারে কিছু আসে যায় না।উল্টো তারাই সমাজের কাছে ঘৃনিত ও ধিকৃত।তারা সমাজে অস্হিরতা চায়,সৌহার্দ্য, প্রীতি ও সহাবস্থান চায় না।তাদের হেদায়েতের জন্য দোয়া রইল।

কবরস্থানের নামে দখলবাজি ও দখলবাজ,চাদাবাজ সহ সকলকেই আইনের আওতায় আনা জরুরি। কারন বর্তমান সরকার ও সব রাজনৈতিক দল দখল ও চান্দাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।যারা তাদের প্রশ্রয় দেয় তাদেরও সরকার ছাড় না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।প্রয়োজনে দূর্নীতি দমন কমিশনেও দখলকৃত কবরস্হানের নামে ভূমি ভরাট ও বাউন্ডারি নির্মানের অর্থের যোগানদাতাদের চিহ্নিত করতে আবেদন জানানো হবে।

ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্যরা জানায় তারা তাদের ন্যায্য অংশ অনুমানিক ৮.৮ শতাংশ ভূমি অন্যায় ভাবে কবরস্থানের নামে দখল হতে দিবে না ।যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
দখলকৃত জমি উদ্ধার এবং ভূমিদস্যু ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর অবস্থান নেওয়া জরুরি।কারন এই দানবরা কবরস্হানের নামে নানা অপকর্মে জড়িত।

দখলকৃত জমিতে কি হচ্ছে ?দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলের কবরস্থানে কংকাল চুরি, বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড,অনিয়ম বৃদ্ধি পাওয়ায় দখলকৃত খাটরা পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের নামে হওয়া মসজিদ কমিটি নিয়েও অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে?

এলাকার সচেতন মহল জানান, কবরস্থানের নামে দখলকৃত জায়গা সরকারিভাবে ওয়াকফ হয়নি।মসজিদ কমিটির সম্পাদিত জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র যথেষ্ট দূর্বল,অনিয়ম ও ত্রুটিযুক্ত আছে।

ভূক্তোভূগি আরও জানায় কবরস্হান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে সঠিকভাবে সম্পন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন যা তাদের কাছে নেই এবং কবরস্হানের স্বীকৃতি পেতে হলে প্রয়োজনীয় কাগজ সহ স্হানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা অবশ্যই জরুরী। স্হানীয় প্রশাসন ছাড়া যেকোন কবরস্থানে যেকোনো অনিয়ম হতে পারে। স্হানীয় প্রশাসন যুক্ত হলে স্হানীয় ভূমি দখলকারী ও লোভী গোষ্ঠী ভবিষ্যতে যে কারো জমি নিয়ে কোনো প্রকার বিরোধ,দখলবাজী এবং অনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারবে না,সেজন্য এই খাটরা গ্রামে প্রশাসনিক নজরদারি অত্যন্ত জরুরি ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved weeklyekusheynews.com প্রকাশক ও সম্পাদক মো:হাসানুজ্জামান (সুমন) সাপ্তাহিক একুশে নিউজ অফিস ঠিকানা:- স্বপ্ন সদন এপার্টমেন্ট ৬৭/৬৮ পাইওনিয়ার রোড.(২য় তলা) সেগুনবাগিচা,রমনা,ঢাকা। মোবাইল নং-+৮৮০১৭৯০৫৬১৫৯৭
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং