মাগুরা মহম্মদপুর সরকারী আর এসকেএইচ ইনষ্টিটিউষনের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ভয়ভিতী দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন মাই টিভির মাগুরা জেলা প্রতিনিধি ও মাগুরা প্রেসক্লাবের সদস্য আশরাফুল আলম সাগর। চাঁদা দাবীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেসক্লাব মহম্মদপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক একেএম নাসিরুল ইসলাম বুলু। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে প্রেসক্লাব মহম্মদপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, মাই টিভির সাংবাদিক আশরাফুল আলম সাগর ৬ই আগষ্ঠ বুধবার আমার প্রতিষ্ঠান সরকারি আর এসকেএইচইনষ্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসেন। আমার সাথে দেখা করে সে আমার প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের অনিয়ম হয় এবং সে আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করবে বলে আমাকে অবহিত করেন। তখন আমি তাকে বলি বলুন আমার কাছ থেকে আপনি কি জানতে চান। এ সময় তিনি আমাকে বলেন আমার মাই টিভির সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক সবাই নিউজ করতে চাইছে আমি তাদের সাথে কথা বলে আপাতত নিউজ না করার জন্য বলেছি। আমার ও আমার অফিস বাবদ আপনি আমাকে আপাতত ১০ লক্ষ টাকা দিলে আপনার এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নিউজ হবেনা। আমি কোন প্রকার অনিয়ম বা অপকর্মের সাথে জড়িত না থাকার কারনে আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন সে আমাকে দেখিয়ে দিবেনে বলে চলে যায়। পরে ৮ই আগষ্ঠ শুক্রবার ফের আমার প্রতিষ্ঠানে একই দাবী নিয়ে আসলে আমি টাকা দিতে পারবোনা বলে সাফ জানিয়ে দেই। এর পর তিনি ১১ই আগষ্ঠ সোমবার সে আমার নিজ বাড়িতে গিয়ে আমার সাথে দেখা করে এবং পূনরায় সে আমার কাছে দাবিকৃত ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলে এবং টাকা না দিলে সে আমাকে বিপদে ফেলবে বলে জানান। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমার বাড়ি থেকে চলে আসে। আশরাফুল আলম সাগর এর পর থেকে আমার নানাবিধ সমস্যা ঘটাবার পায়তারা চালাচ্ছে। জনশ্রæতি রয়েছে জনাব আশরাফুল আলম সাগর একজন চাঁদাবাজ সাংবাদিক। জাতীর কলংক মাই টিভির সাংবাদিক আশরাফুল আলম সাগর নামের চাঁদাবাজের চাাঁঁদাবাজীর বিষয়টি অনুসন্ধানকরে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করে তার মুখোশ উম্মোচন পূর্বক সমাজকে চাঁদাবাজমুক্ত করতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন। এ বিষয়ে তিনি মাই টিভির প্রধান কার্যালয়, মাগুরা জেলা প্রেসক্লাব ও প্রেসক্লাব মহম্মদপুরে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বলে তিনি আরো জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাব মহম্মদপুরের সাধারন সম্পাদক মো: মাসুদ রানা সহ অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক আশরাফুল আলম সাগর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আর এসকেএইচ ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অবৈধ নিয়োগ সসংক্রান্ত সুনিদিষ্ট প্রমানপত্র আমার কাছে আছে। এটা নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এখন নিজেকে রক্ষা করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন।
স্থানীয় কছিু সুধিজন জানান, শুনেছি আশরাফুল আলম সাগর অনেকদিন ধরে এ নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছেন। তবে তার কাছে প্রমানপত্র যদি থাকে, কেন তিনি তা প্রকাশে বিলম্ব করছেন। বিষয়টি আমাদের কাছে নেতিবাচক মনে হয়েছে।

মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সংগঠনের কোন সাংবাদিক চাঁদাবাজীর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।