মাদক নির্ভরশীল চিকিৎসায় পারিবারিক মনো-সামাজিক শিক্ষণ গুরুত্বপূর্ন বলে মন্তব্য করেছে কেন্দ্রীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রাহানুল ইসলাম। সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১ টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুর্নবাসন কেন্দ্রের আয়োজনে চিকিৎসারদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক পারিবারিক সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে মনো-সামাজিক শিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। এটি ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করে এবং পরিবার ও সমাজের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একই সাথে আত্মবিশ্বাস ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে পুনরায় মাদক সেবন রোধে ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের চিকিৎসা মাদকে আসক্ত ব্যক্তিদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সভায় এবারের বিষয়বস্তু ছিল ‘মাদক নির্ভরশীল চিকিৎসায় পারিবারিক মনো-সামাজিক শিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ’। মাদক নির্ভরশীল চিকিৎসায় পারিবারিক মনো-সামাজিক শিক্ষণ গুরুত্ব অনেক যা মাদক নির্ভরশীল থেকে মুক্তি ও সুস্থ্য জীবনে ফিরে আসার জন্য একটি গুরুত্বপুর্ন প্রক্রিয়া। এই শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যক্তির সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে যা মাদক নিরাময়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখি গাঙ্গুলী।
উল্লেখ্য, সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এবং মাদকনির্ভরশীল নারীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অধীনে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র সফলতার সাথে ২০১৪ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে আসছে। পাশাপাশি নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যও প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।