মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী রমজান হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে গত ৩০ মে ছুরির আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল। ১৮ দিন পর তার লাশ গতকাল মঙ্গলবার একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরে লাশটি গ্রহন করেন তার বড় ভাই রিপন মোল্যা। পরে লাশটি বাড়ি এনে বুধবার সকালে পূর্ব নারায়ণপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত রমজান মহম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
রমজানের বড় ভাই রিপন জানান, সামান্য বিষয় নিয়েই পরিকল্পিতভাবে আমার ছোট ভাই রমজানকে হত্যা করেছে । তিনি এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেন। তার সংসারে স্ত্রীসহ দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সংসারের অভাব মেটাতে দুই বছর আগে দেশ ছেড়ে প্রবাস জীবন বেছে নিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।
রমজানের স্ত্রী নাজনীন কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদেরকে আর দেখার কেউ থাকলো না। এখনও দেনা শোধ করতে পারি নাই। তাকে ছাড়া আমরা কিভাবে বাঁচবো।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে রমজানের লাশ দেশে আনার জন্য সকল প্রকার সহযোগীতা করেছি।