জমিতে কাজ করার জন্য কাজের লোক ঠিক করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সংঘর্ষে ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত, বেশ কয়েকটি হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষের ১০ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে- ৩ জনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর-যশবন্তপুর গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চর যশোবন্তপুর গ্রামে কুদ্দুস মোল্যা ও সাহেব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাহেব মোল্যার দুই জন সমর্থককে কুদ্দুস মোল্যা কামলা নিয়েছিল। কিন্তু কামলারা কাজ করতে গেলে তাদেরকে কাজে নেবে না বলে জানায় দেয়। কামলারা বিষয়টি সাহেব মোল্যাকে জানালে কুদ্দুসকে ডেকে এনে পান্নুর বাড়িতে আটকিয়ে মারধর করে। পরে কুদ্দুস মোল্যা ছুটে দৌড় দিয়ে জালাল মোল্যা ছেলে দুলালের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উভয় পক্ষ সংগঠিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় অহিদ (৩০), মাহাবুর রহমান (৩৫), কুদ্দুস মোল্লা ( ৪৫), পান্নু মিয়া (৪৮), শহিদ মোল্লা (৪০)কে ঢাকা মেডিকেল এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি তবে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।