শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য সিদাম মোল্যা (৬০) কর্তৃক আবুল কালাম (৫৭) নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পালং ইউনিয়নের বালাখানা এলাকায় এ ঘটে। আহত আবুল কালাম মোল্যা ও তার স্ত্রী সালমা বেগম শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় মামলায় প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের বালাখানা এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কালাম মোল্যাকে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) সিদাম মোল্যা দীর্ঘদিন যাবৎ নানানভাবে নির্যাতন ও চাঁদার দাবি করে আসছে। আওয়ামীলীগ শাসনামলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়েও খ্যান্ত হয়নি। বাড়ির সামনের রাস্তা ব্যবহারের জন্য সিদাম মোল্যা আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকার দিকে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামীলীগ নেতা সিদামের নেতৃত্বে ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবুল কালাম মোল্যার ওপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আবুল কালামকে বাঁচাতে এসে তার স্ত্রী সালমা বেগম (৪৫) আহত হয়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত আবুল কালাম মোল্যা বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে সিদাম মোল্যা আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। এখন আবার ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমারা স্ত্রীকেও মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
আওয়ামীলীগ নেতা সিদাম মোল্যা বলেন, আমি পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার)। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের থেকে আবুল কালাম মোল্যা আমাকে নানানভাবে জ¦ালাচ্ছে। আমাকে গালাগালি করে চলছে। আমি কোনো চাঁদা চাইনি, উল্টো আমাকে মারধর আমার থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।