ফরিদপুর জেলার,ভাংগার খাটরা গ্রামের খাটরা মুন্সি বাড়ি বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আলেচনার কেন্দ্রে চলে আসে।
সুদীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নাল জমিকে কবরস্হান বানানোর চেষ্টা কাগজ - পত্র ত্রুটিপূর্ণ, অনিয়ম ও অসংগতি থাকায় তা নামজারি করাতে মসজিদ কমিটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
গুরুতর অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাসুদ মিয়া ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য ফয়সাল রাজু সাথে কথা বলেন এবং বিষয়টি সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টার আশ্বাস প্রদান করেন।জনাব মাসুদ বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগি হলেও দখলকৃত জায়গায় মাটি ভরাট ও বাউন্ডারি নির্মানের অর্থের জেগানদাতারা সক্রিয় এবং জোগানদাতার ভাই ভরা মজলিসে আলোচনা বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।ঐ ব্যক্তি প্রকাশ্যেই বলতে থাকেন উপরের থেকে নিষেধ আছে এই বিষয়ে কোন আলোচনা করা যাবে না।
ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য জানান,আমাদের ন্যায় সংগত হক ওয়ারশি সূত্রে প্রাপ্ত ৮.৮ শতাংশ জায়গা আমরা ফেরত চাই।এতবড় জায়গা প্রায় ৪৩ শতক ৮/১০ ফিট মাটি ভরাট ও বাউন্ডারি নির্মানে এত অর্থায়ন কে বা কারা করছে তার সঠিক তদন্ত হওয়া জরুরি। যদিও ৪৩ শতকের মধ্যে আমাদের ৮.৮ শতক আমরা ফেরত চাইছি।তিনি আরও বলেন,
যথাযথ কতৃপক্ষ বরাবর মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে সকল দূর্নীতির তদন্তের আবেদন জানাতে প্রস্তুত।
ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য বলেন,মসজিদ কমিটির সভাপতি এই দায় এড়াতে পারেন না।তিনি যখন মসজিদ কমিটির দায়িত্ব নিয়েছেন তখন তিনি অবশ্যই সবকিছু বুঝেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এখন তিনি যদি বলেন তিনি কিছুই জানেন না তা কি সঠিক হবে? আর দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত হলে সবকিছুর জবাব কমিটির সভাপতি হিসেবে তাকেই দিতে হবে।
ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য আরও জানান, শাহ আলম চৌধুরী সহ যে তিন জন ওয়ারিশ জায়গাটির সাফকাবলা দিয়েছে তা যদি সঠিক হতো তাহলে,
খাটরা মুন্সি বাড়ি বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটি এতোদিনে নাল জমিটি কবরস্হান এর নামে নামজারি করে তা কবরস্হান বানিয়ে দিতো,কাগজ পত্র বিবেচনায় তারা সক্ষম নয়।ঐ সময় আমার পিতাকে দিয়ে জোর করে সাফকাবলায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল,যা সঠিক হয়নি।বিষয়টি যথাযথ সমাধান ও সংশোধন অবশ্যই হতে হবে ।
খাটরা মুন্সি বাড়ি বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাসুদ সময় চেয়ে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন । ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য বলেন সময় দেওয়া যেতে পারে,তবে প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তার ভাই এর কোন চাপ ,ভীতি অথবা ওমর আলি গংরা যদি সাহালোম গংদের দিয়ে ভীতি চাপ,বা আতংক সৃষ্টি করে তবে সমাধানের পথ কন্টাকীর্ণ হবে সমাধান আসবে না। সমাধান হতে হবে ন্যায় ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে।ভীতি,চাপ,হুমকি বা আতংক সৃষ্টি করে নয়।ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য আরও বলে যাদের বিরুদ্ধে আমি অবস্থান নিয়েছি তারা অনেক প্রভাবশালী।
কিন্তু কোন পরিবারের কোন ব্যক্তির রক্ত চক্ষু ন্যায় প্রতিষ্ঠার বাধা হতে পারবে না।ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি ৮.৮ শতকের (আনুমানিক) বিষয়টি স্হানীয় প্রশাসনে লিখিতভাবে আরও আগেই অবহিত করেছি সকল তথ্যাদি সহ।
ভূক্তোভূগি পরিবারের সদস্য ফয়সাল রাজু জানায় কবরস্হান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে খাটরা মুন্সি বাড়ি বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির অবশ্যই সঠিকভাবে সম্পন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন যা তাদের কাছে নেই বা তারা প্রয়োজনীয় কাগজ জোগাড় বা প্রদর্শন করতে সক্ষম নয়।
কবরস্হানের স্বীকৃতি পেতে হলে খাটরা মুন্সি বাড়ি বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটি প্রয়োজনীয় কাগজ সহ স্হানীয় প্রশাসনের অনুমোদন ,সংশ্লিষ্টতা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেই তা করতে হবে ।
স্হানীয় প্রশাসনের তদারকি ছাড়া ঘোষিত যেকোন কবরস্থানে যেকোনো অনিয়ম হতে পারে। স্হানীয় প্রশাসন যুক্ত হলে স্হানীয় ভূমি দখলকারী ও লোভী গোষ্ঠী ভবিষ্যতে যে কারো জমি নিয়ে কোনো প্রকার বিরোধ,দখলবাজী এবং অনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারবে না,সেজন্য এই খাটরা গ্রামে প্রশাসনিক নজরদারি অত্যন্ত জরুরি গ্রামবাসী মনে করেন।