খাটরা, কাউলিবেড়া ইউনিয়ন, ভাংগা উপজেলা, ফরিদপুর জেলা।অত্র অঞ্চলের কৃতি সন্তান, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব চৌধুরী এম এ হামিদ,তাঁর নিজ জন্মভূমি খাটরা।ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৪৩ শতক জমি তার ওয়ারশিদের সকলেরন নামে মাঠ পর্চা জরিপে লিপিবদ্ধ হয়।
জমিটি মাইঝাইল মৌজায়। চৌধুরী এম এ হামিদ এর মৃত্যুর পর উক্ত জমিটি তার ওয়ারিশগন আজ পর্যন্ত ন্যায্য হকদার।
সেই সূত্র হামিদ চৌধুরী ১ম স্ত্রীর বড় সন্তানের ওয়ারিশগন যথাযথ আইন মেনে কাগজ পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে তাদের নামে নামজারি করে যার পরিমান ৮.৮ শতাংশ। কিন্তু গ্রামের কিছু দস্যু শ্রেণির লোক মসজিদ কমিটির সহযোগিতায় কবরস্থানের নামে উক্ত ৮.৮ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ আছে।তারা জায়গাটি দখল পাকা পোক্ত করতে বিভিন্ন ভাবে কাগজ পত্রের জালজালিয়াতির আশ্রয় নেন।এমনকি এই ঘৃন্য কাজ তারা খুব গোপনে ও নীরবে করে।কবরস্হানের নামে জায়গা দখল হয় ওমর আলি নামে এক বাটপারের উদ্যোগে এবং সহযোগিতায় মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ প্রভাবশালী অনেকেই জড়িত ছিল ।
এই জায়গাটি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হওয়ার পরও চৌধুরী এম এ হামিদের মৃত্যুর পর, তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই রশীদ ওরফে বাদশা মিয়া, কিছু অসাধু ও লোভী ভূমির দালালদের খপ্পর ও প্ররোচনায়, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে এস.এ. খতিয়ান অনুযায়ী অর্ধেক জমি নিজের দাবী করে জনৈক ইউনুস মাতুব্বরের কাছে বিক্রি করে দেন। উক্ত ঘটনাটি পরিকল্পিত। পরে কবরস্হানের নামে কাগজ পত্র জালজালিয়াতিও করেন তারা।কিন্তু সেই কাগজ পত্র সঠিক না থাকায় ভূমি অফিস কবরস্থানের নামে কোন আবেদনে সারা দেয়নি।উপরুন্ত ওমর আলি ও বাদশা মিয়ার সন্তানরা চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা দাবি করলে ওমর আলি বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারে জানানোর সহ আইনি আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে ভূক্তোভূগি জানান।কারন এই দানবরা কবরস্হানের নামে নানা অপকর্মে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে জায়গাটি ফেরত দেওয়ার কথা বলা হলেও কবরস্হানের সেক্রেটারি মাসুদ মিয়া বিষয়টি সমাধান দিতে অপারগতা জানান।
ভূক্তোভূগি পরিবার কবরস্হানের নামে অবৈধভাবে দখল করা জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বর্তমান কমিটির এই দু:সাহস বিজ্ঞ মহলের সামনে তুলে ধরতে সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা চায়। ।
বিষয়টি কবরস্থান কমিটি উদ্দেশ্যমূলক ও দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য করছে বলেই প্রতীয়মান ।
ওমর আলিদের ছত্রছায়ায় কত মানুষ নিঃস্ব হয়েছে তা তদন্তের দাবী রাখে।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলের কবরস্থানে কংকাল চুরি, বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় খাটরা পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের কমিটি নিয়েও অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে?
ওমর আলি (ক্যাশিয়ার ) সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু সীমিত তথ্য মিললেও, জায়গা দখল ও প্রশাসনকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে না জানানোর যৌক্তিক কারণের কোন ব্যাখ্যা করতে পারেননি।তাদের মতে প্রশাসনকে এই কবরস্থান পরিচালনার বিষয়ে জানানোর কিছু নাই আর জায়গা দখলের বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যায়।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, সরকারিভাবে কবরস্থানের ওয়াকফ হয়নি। জমি কাগজপত্র যথেষ্ট অনিয়ম ও ত্রুটি আছে। অনিয়ম পূর্নাঙ্গ তদন্ত সহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আর্থিক অনিয়ম পূর্ণাঙ্গ তদন্ত জরুরি। ওয়ারিশ মালিকানা সংক্রান্ত যে জটিলতা ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরির দায় বর্তমান কমিটির সকল সদস্যর ।তাছাড়া রশিদ ওরফে বাদশা মিয়ার তিন পুত্র ফিরোজ গংরা ওমর আলির নেতৃত্ব ধ্বংসাত্মক মূলক কাজ করার পরিকল্পনায় লিপ্ত । এছাড়াও ওমর আলী সহ কমিটির কয়েকজন সদস্যের পরামর্শে ফিরোজ গংরা তাদের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক বন্টননামা ও দলিল দস্তাবেজ নষ্টের উদ্যোগ নিতে পারে ।তবে তদন্তে পূর্ণাঙ্গ সত্য উঠে আসবে।
কবরস্থানের নামে জমি দখলের বিষয়ে সাধারণ ডায়রি, আইনি নোটিশ ও আইনের আশ্রয় গ্রহন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
বর্তমান কমিটির সবাই প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নন — তাই সঠিক তদন্ত, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে কবরস্থানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন । স্হানীয় ভূমি দখলকারী ও লোভী গোষ্ঠী যাতে ভবিষ্যতে যে কারো জমি নিয়ে কোনো প্রকার বিরোধ,দখলবাজী এবং অনৈতিক তৎপরতা চালাতে না পারে,সেজন্য এই খাটরা গ্রামে প্রশাসনিক নজরদারি অত্যন্ত জরুরি ।
অন্যথায়, ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের জটিলতা ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারে, যা খাটরার মতো একটি শান্তিপূর্ণ গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য বড় ধরনের সামাজিক সংকট ও হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।