শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৮০ নং তালুকদার বাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ফসলী জমির মাটি কেটে হুমায়ুন বেপারী কর্তৃক অবৈধভাবে বোরহান মাদবরের ড্রেজার মেশিন দ্বারা মাটি কাটা ও ভরাট বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে মহিউদ্দিন রাড়ী নামক এক ব্যক্তি শরীয়তপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী মহিউদ্দিন রাড়ী জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৮০ নং তালুকদার বাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ফসলী জমি থেকে হুমায়ুন বেপারী কর্তৃক অবৈধভাবে বোরহান মাদবরের ড্রেজার মেশিন দ্বারা মাটি কেটে (উত্তোলন করে) বিক্রি করছে। এতে করে আশেপাশের প্রায় কয়েক একর ফসলী জমির ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। এঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে মহিউদ্দিন রাড়ী শরীয়তপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলী জমির মাটি কাটা এবং বিক্রি বন্ধে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও একটি কুচক্রী মহল নানান কৌশলে মাটি কাটা ও বিক্রি করেই যাচ্ছে। বারবার প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ওই অবৈধ ড্রেজার মালিক ও ফসলী জমির মাটি বিক্রেতাদেরকে। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে ওই অবৈধ ড্রেজার মালিক ও ফসলী জমির মাটি বিক্রেতা কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে মহিউদ্দিন রাড়ী বলেন, এভাবে চলতে থাকলে কিছু দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ফসলি জমির মাটি দেরারসে উত্তোলন করে বিক্রির হিড়িক পরেছে। ফলে ফসলী জমি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছি। এসব এলাকার জমিতে প্রতি বছর প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়। চাষাবাদই তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম। অতিদ্রুত ওই অবৈধ ড্রেজার অপসারণ চাই। পাশাপাশি তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, প্রশাসন ফসলী জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অবৈধভাবে মাটির উত্তোলনকারীরা কোনো ভাবে ছাড় পাবে না।