ঢাকা, ০৫ আগস্ট ২০২৫ খ্রি.রাজধানীর বংশালে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির বংশাল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মোঃ রাশেদুজ্জামান (৪২), আলমগীর হোসেন (৬৫) এবং আব্দুল জলিল (৬৯)।
সোমবার (৪ আগস্ট ২০২৫) রাতে সূত্রাপুর ও কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বংশাল থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম গ্রেফতারকৃত তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক বা দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ভিকটিম জানান, দেড় বছর আগে মোঃ রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে রাশেদুজ্জামান ভিকটিমকে তার বাসায় কাজের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে রাজি না হলেও ভিকটিম পরে কাজে যোগ দেন। একসময় রাশেদুজ্জামান তাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে বংশালের সাতরওজা এলাকায় তার বাসায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও ভিডিও ধারণ করে। এই ভিডিও ব্যবহার করে রাশেদুজ্জামান অন্য গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে ভিকটিমকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে এবং প্রতিটি ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে ভিকটিমের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে গ্রেফতারকৃত রাশেদুজ্জামান। টাকা না দেওয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ভিকটিমের গ্রিস প্রবাসী বেয়াইয়ের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয়।
থানা সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (৪ আগস্ট ২০২৫) রাত আনুমানিক ১:৪৫ ঘটিকায় সূত্রাপুর থানাধীন রায়সাহেব বাজার এলাকায় মোঃ রাশেদুজ্জামান ও আলমগীর হোসেনকে এবং রাত আনুমানিক ২:১০ ঘটিকায় কোতয়ালী থানাধীন পপুলার হাসপাতালের সামনে থেকে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।