মহম্মদপুর বাজারে রাত নামলেই নামে অন্ধকার। পুরো বাজারের কোথাও নেই কোনো স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা। যার ফলে, ব্যবসায়ী ও দোকানিদের মাঝে রাতের বেলায় আতঙ্ক নেমে আসে।
একসময় এই বাজার ছিল আলোকিত, হ্যালোজেন লাইটে ঝলমল করত প্রতিটি মোড় ও গলি।
সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মিজানুর রহমানের সময় এই বাজারে হ্যালোজেন লাইট স্থাপন করা হয়, যা ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য এক বড় আশার আলো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তিনি বদলি হওয়ার পরপরই এই আলো নিভতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে একে সব লাইটই নষ্ট হয়ে যায়—কিন্তু এরপর আর কেউ এগিয়ে আসেনি সেগুলো মেরামতের জন্য।
ফলে আজ পুরো বাজারই যেন রাতে অন্ধকারে ডুবে থাকে।
এই অন্ধকারেই সুযোগ নেয় ছিঁচকে চোরেরা।
এ বাজারে রাতে চুরির ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কখনো তালা ভেঙ্গে,কখনো শাটার উঁচু করে, কখনো বা চালের টিন কেটে ভিতরে ঢুকে। একাধিক চুরির ঘটনা আছে এ বাজারে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক রাতেই পাচ দোকানে চুরি হয় এই চুরির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী ভীষণ শোরুমের মালিক মোহিতুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে পরে এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে আসে সাথে ছিলেন ওসি মহম্মদপুর থানা ও এসপি সার্কেল মাগুরা।
অজানা আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের সামনে রাত জেগে পাহারা দেন।
কেউবা টাকা দিয়ে ডিউটির লোক দিয়ে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করে ।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান
🔹 বাজারে কোনো সিসিটিভি নেই
🔹 রাত্রিকালীন নিরাপত্তা কর্মী অপ্রতুল
🔹 নিয়মিত পুলিশ টহল থাকলেও আলোর অভাবে চোর নাকি পুলিশ সেটা বোঝা বড় দায়
🔹 বাজার ফাঁকা হয়ে গেলে পুরো এলাকা হয়ে ওঠে ভুতুড়ে পরিবেশ
ব্যবসায়ীদের দাবি,
✅ বাজারে স্ট্রিট লাইট পুনঃস্থাপন ও মেরামত করতে হবে
✅ বাজারে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে
✅ রাত্রিকালীন নিরাপত্তা কর্মী বৃদ্ধি করতে হবে
✅ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত নৈশ টহল বাড়াতে হবে
একজন প্রবীণ ব্যবসায়ী সাঈদ শিকদার দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন –
“ভাই, দোকান খুলে রাখলে চিন্তা, বন্ধ করে রাখলেও ভয়—রাত নামলেই মনটা শুকিয়ে যায়।”
মহম্মদপুর বাজার ব্যবসায়ীদের প্রাণ।
এই প্রাণ যেন অন্ধকারে নিভে না যায়,
এই আকুতি এখন ব্যবসায়ী মহলের সবার।
➡ উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ব্যবসায়ীদের বিশেষ অনুরোধ—
এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন।
আলো ফিরুক, নিরাপত্তা ফিরুক আমাদের বাজারে।