২১জুন ২০২৫:উপজেলার প্রধান সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রী ও নির্মাণকাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় অল্প সময়েই রাস্তায় কাদা, গর্ত এবং ধুলাবালি সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পথচারী, ভ্যানচালক , মোটরসাইকেল, ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এবং যানবাহনচালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা বলেন, “কিছুদিন আগে রাস্তা খুড়া হয় কিন্তু ভরাট করা হয় মাটি এবং নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ হলেও এখনই রাস্তায় ব্যাপক আকার কাদা দেখা দিচ্ছে। রাস্তা যেন এক মাসও টিকবে না এমন অবস্থা। শুকনার সময় দিনের বেলা এব্রো থেব্রো উঁচু নিচু ধুলাবালি, আর বৃষ্টির সময় কাদা—এটাই এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী।”
একই অভিযোগ করেন রাস্তার পাশের রাস্তার পাশের দোকানদারেরা । তারা বলেন, “কাজের সময় কোনো সতর্কতা বা নিরাপত্তাব্যবস্থা মানা হয়নি। এখন প্রতিদিন আমাদের দোকানের সামনেই কাদার আস্তরণ পড়ে থাকে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তার কাজটি কোনো নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে হলেও নির্মাণ মান তদারকিতে ঘাটতি রয়েছে। খোয়া ও পাথরের পরিমাণ, রোলিং পদ্ধতি এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক মামুন বলেন
আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। তিনি আজকে বিকালের মধ্যেই এক্সেন স্যার কে আনবেন এবং তিনি নিজেও উপস্থিত থাকতে চেয়েছেন। আমরা মহম্মদপুরের উন্নয়ন ও দূর্নীতির বিষয়ে সদা সর্বদা জাগ্রত ও সোচ্চার ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরেজমিনে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন । তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরাও বিষয়টি অবগত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে পুনরায় কাজ করার নির্দেশ আসতে পারে।”
জনসাধারণের দাবী—তাত্ক্ষণিকভাবে সড়ক নির্মাণের মান পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একইসাথে, দায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।