সরোজমিনে তদন্ত করে দেখা গেল যে, মাগুরা জেলায় মোহাম্মদপুর উপজেলার অন্তর্গত শ্যামনগর গ্রামের বিদেশ ফেরত মুজিবর ঘটকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গত (আনুমানিক) ২০২২\২০২৩ ইং সালে মরহুম আফজাল হক মোল্লা ধোয়াইল নিবাসের নিকট হতে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে তাহার (মজিবর ঘটক) জমির পাশে। বিদেশ থেকে এসে জমির প্রকৃত মালিক কে কোন নোটিশ না দিয়ে এমনকি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের না জানিয়ে কিছু ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিজেই জমি মেপে ইচ্ছেমতো সীমানা দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে। তারপর ১২/০৫/২৫ ইং তারিখে জমির প্রকৃত মালিক মোছা: শাহানারা বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তারপর থানা থেকে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় যে তিনি ইট,বালি ও সিমেন্ট দিয়ে অন্যের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছে। পুলিশ দেখে তারা সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দেয়। তারপর পুলিশ চলে গেলে আবারো তারা জোরপূর্বক প্রাচীরের কাজ শুরু করে। অসহায় ভুক্তোভোগী মোছা: শাহানারা আবারো পুলিশ কে ফোন দিলে পুলিশ আসে ও কাজ বন্ধ করে কিন্তু পুলিশ চলে গেলে পুনরায় মুজিবর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আবারও প্রাচীর নির্মাণ করতে থাকে।
এমতাবস্থায়, ভুক্তভোগী মৃত আফজাল হক মোল্লার মেয়ে মোছা: শাহানারা জরুরী ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে,সেনাবাহিনী ঘটনা স্থলে পৌঁছিলে কাজ নির্মাণ বন্ধ করে দেয় এবং সন্ত্রাসীদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কাজ বন্ধ কিন্তু প্রাচীরটা দৃশ্যমান। মৃত আফজাল হক মোল্লার চার মেয়ে একজন গ্রামের বাড়িতে থাকে অপর তিন মেয়ে ঢাকায় থাকে তার মধ্যে এক মেয়ের জামাই মৃত্যুবরণ করেছেন অনেক আগেই। বর্তমানে তিনজন জামাই জীবিত আছেন। ১) এনামুল হক,তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী,খুলনা জেলার পাইকগাছা থানায় ভূমি জরিপ অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। ২) বাবুল আক্তার বাবু বিশ্ব বিখ্যাত নেক্সট বায়িং হাউসে বড় অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ঢাকাতে। ৩) অন্যজন মোঃ হাসানুজ্জামান সুমন বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক একুশে নিউজ এর প্রকাশক ও সম্পাদক ও তিনি একটি মাল্টিন্যাশনাল তুরস্কের ব্রান্ড,গোল্ডেন রোজে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাহার বাসা দুদকের অফিস সেগুনবাগিচার সামনে, যা রমনা থানাধীন। সরোজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় এখন পর্যন্ত অন্যের জায়গায় যে প্রাচীর মুজিবর এর নেতৃত্বে দেওয়া হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। এবং তাহারা জোরপূর্বক লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট করে প্রাচীর নির্মাণ করেছে। শাহানা বেগম যাদের নামে অভিযোগ করেন তারা হলেন-১.তরিকুল ঘটক ২.বাদশা ফকির ৩.আফতাব মোল্লা ৪.জুয়েল মোল্লা ৫.মুজিবর ঘটক ৬.অহিদ ঘটক ৭.কাবুল ঘটক ৮.হারুন মুন্সি ৯.জিনাই ঘটক ১০.মঞ্জু মুন্সী ১১.রাসেল মুন্সি ১২.রুবেল মুন্সী ১৩.কিবির ঘটক ১৪.কাফির ঘটক ১৫.আলম ঘটক ১৬.গফফার ঘটক ১৭.ইব্রাহিম বিশ্বাস ১৮.রবিউল বিশ্বাস সহ এলাকার সন্ত্রাসী ব্যক্তিগণ তারা দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ মানুষের জমি দখল করে ভোগ দখল করে আসতেছে। তাহাদের নামে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। এলাকাবাসী জানায় তাদের কাজ একটাই গরিব ও নিরীহ মানুষের জমি দখল করে করা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা। এছাড়াও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, তাদের একটি কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে মাদক খাওয়া ও বাণিজ্য করে,মেয়েদের ইভটিজিং সহ অসামাজিক বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িত। ওদের ভয়ে এলাকা সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারে না। আপনি সাংবাদিক ভাই, আমাদের নাম বলেন না ওদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। ওদের জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। কে বা কাহার নির্দেশক্রমে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে অনুসন্ধান করে এখনো জানা যায়নি। তবে আমরা আশাবাদী অতি শীঘ্রই এদের মূল হোতাকে আমরা চিহ্নিত করতে পারব। আমি মৃত আফজাল হক মোল্লার জামাই সুমনকে ফোন দিলে,তিনি জানান থানার বিশেষ অনুরোধে মীমাংসা করার জন্য আমি মুজিবর ঘটক কে ফোন দেই,ফোন দেয়াতে তিনি তেলে বাগুনে জ্বলে ওঠেন,তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে,হাত পা কেটে নেবে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে এ প্রসঙ্গে সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান উক্ত হুমকির আদলে রমনা থানাতে ও ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দাখিল করা হয়েছে। যাহা তদন্ত এখনো চলমান এই হুমকির ভয়ে সুমনসহ অন্যান্য জামাইরা ঈদে এলাকাতে আসতে ভয় পাচ্ছে যে কোন সময় সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে ও প্রাণে মেরে ফেলেতে পারে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আইন সবার জন্য সমান। ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি আসার জন্য মাগুরা জেলার অন্তর্গত মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আপনার মাধ্যমে সাহায্য কামনা করছি।