ঢাকা, ০৮ মে ২০২৫ খ্রি.স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে ফোনের মাধ্যমে চাঁদা দাবি, প্রাণনাশের হুমকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের সদস্য মোঃ মাসুম হোসেন (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ।
গত মঙ্গলবার ( ৬ মে ২০২৫ খ্রি.) বংশাল থানাধীন কসাইটুলি চাঁদ মসজিদ এলাকা থেকে মাসুম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাসুম কামরাঙ্গীরচর এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে ফোনের মাধ্যমে চাঁদা দাবি করতেন এবং তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। এতে এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মামলার ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল রাজবংশী ভয়ে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে মাসুমকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। অন্যান্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও ভয়ে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া মাসুম ফোনে সজলকে হুমকি দিয়ে বলেন, “তোর তো কই মাছের প্রাণ, একটা গুলি পায়ে করেছি, টাকা না দিলে এবার প্রাণে মারবো।” এছাড়াও অন্য ব্যবসায়ীদের ফোন করে বলতেন, “টাকা না দিলে তোদের সজলের মতো অবস্থা হবে।”
থানা সূত্রে আরো জানা যায়, বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ, লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের নজরে আসার পর, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং তাকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার বংশাল থানাধীন কসাইটুলি চাঁদ মসজিদ এলাকা থেকে মাসুম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাসুমের বিরুদ্ধে পূর্বে হত্যামামলা ও ডাকাতি মামলা রয়েছে এবং তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার দলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাসুমের গ্রেফতারের পর কামরাঙ্গীরচর এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছে কেউ যদি ফোন বা প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করে বা হুমকি দেয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কামরাঙ্গীরচর থানায় অবহিত করতে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।