মহম্মদপুর সদরের ঘোপ বাওড় কে ঘিরে বিরাজমান সমস্যা থেকে মুক্তির লক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে জমির মালিকেরা। সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করেছেন তারা। সোমবার বেলা ১১ ঘটিকায় প্রেসক্লাব মহম্মদপুর কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তোভোগীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোঃকিবরিয়া তালুকদার।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আমরা মহম্মদপুর উপজেলা ঘোপ বাওড়ের জমির মালিকবৃন্দ। ঘোপ বাওড় মহম্মদপুর মৌজায় অবস্থিত। জেলা প্রশাসক জমির মালিকদের না জানিয়ে ঘোপ বাওড় ইজারা প্রদান করেছেন। জমির মালিকেরা সহকারী জজ আদালত মাগুরায় একটি মামলা করেন। ২০০৬ সালের জুন মাসে আদালত চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। ২০১০ সালে সরকার আপিল করলে মাগুরা জজ আদালত রায়টি বহাল রেখে আপিলটি খারিজ করে দেন। আদালতের রায় উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসন থেকে পুনরায় মহম্মদপুর সমবায় মৎস্য সমিতিকে ইজারা প্রদান করা হয়।
পুনরায় জমির মালিকেরা গত বছরে মাগুরা জজ আদালতে উক্ত ইজাজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন আদালত। উক্ত আদেশ অমান্য করে ১২ ই এপ্রিল ২০২৫ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় মহম্মদপুর মংস্য সমিতির সভাপতি আঃ শুকুর বিশ্বাস ও তার লোকজন নিয়ে ঘোপ বাওড়ে মাছ ধরতে যান। এসময় জমির মালিক ও মৎস্য সমিতির লোকজনের মধ্য বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে ঘটনাস্থলে আসেন মহম্মদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো। ভুক্তভোগীরা সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বলেন, তিনি জমির মালিকদের উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছেন।
এবিষয়ে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জমির মালিকেরা।
মহম্মদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনের (ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো বলেন, সমিতির সদস্যরা ও জমির মালিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাস্থলে শুধু জমির মালিকদের পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা শান্ত রাখতে জমি মালিকদের বলা হয়েছে। কোন পক্ষপাতীত্বের কথা হয়নি। এছাড়া ঘটনাস্থলে ঐদিন মৎস সমিতির কাউকে পাওয়া যায়নি।