নওগাঁর পত্নীতলায় থানা বিএনপির দ্বি বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি মোকসেদুল হক সিরি এবং আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নজিপুর পাবলিক মাঠে এক সম্মেলনে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করেন।
পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আক্কাস আলীর সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজমুল হক সনি।
অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু, এবং আমিনুল ইসলাম বেলাল, মামুনুর রহমান রিপন, শফিউল আজম রানা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী সামিনা পারভিন পলিসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী প্রমূখ।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩ পর্যন্ত নজিপুর সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৩ টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৭৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট কাস্ট হয় ৬৮১ জনের ।
৩ টি পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে মোকছেদুল হক সিরি ৬৪৭ ভোট পেয়ে সভাপতি, আব্দুল্লাহ আল ফারুক ৬৪০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক, নজরুল ইসলাম ৬১৩ ভোট পেয়ে ১ম সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রমজান আলী সরদার ৬০১ ভোট পেয়ে ২য় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য এমদাদুল হক মুকুল বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাররা দীর্ঘ ১৭ বছর পর উৎসব মুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
পত্নীতলা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বনিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রক্তের ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত এ,জেড, মিজান বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দেখিনি। বিএনপির ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেছেন।
নওগাঁ-২(পত্নীতলা ধামইরহাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বি এন পি’র কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জোহা খান বলেন, ফ্যাসিবাদের মুক্তির পর দেশের আপামর জনগন এখন আর নির্বাচন নিয়ে ভয় পায় না। তারা সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। জাতীয় নির্বাচনেও মানুষ নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন । দিনের ভোট রাতে হওয়ার আর সুযোগ থাকবে না।