রাজধানীর কোতয়ালী এলাকা হতে প্রতারণামূলকভাবে একটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে উধাও হয়ে যায় গাড়িটির ড্রাইভার ও হেলপার। গাড়িটির বিভিন্ন অংশসহ প্রতারক ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ড্রাইভারের নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। গ্রেফতারের পর ড্রাইভার জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সেই গাড়ির বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৪) রাত ০১.৩০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, জনৈক মোঃ ছারোয়ার হোসেন বাদল (৫৮) একজন ফল ব্যবসায়ী। তার মালিকানাধীন পিকআপ গাড়ির ড্রাইভার ও হেল্পার হিসেবে কর্মরত ছিল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ সুজন। তারা গত ১০ অক্টোবর, ২০২৪ কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে পিকআপ গাড়িটি নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। পরবর্তীতে তাদের গাজীপুর জেলা মাওনা চৌরাস্তা থেকে টাইলস নিয়ে কক্সবাজার জেলার রামু বাইপাস যাওয়ার কথা ছিলো তাদের এবং গত ১৩ অক্টোবর ২০২৪ উক্ত গাড়ি নিয়ে ড্রাইভার ও হেল্পারের ঢাকায় ফিরে আসার কথা ছিলো। এরমধ্যে ড্রাইভার জাহাঙ্গীর ফোন করে মালিককে জানায় যে, তারা একটি ট্রিপ নিয়েছে এবং সেই ট্রিপের বিনিময়ে প্রতিদিন মালিককে ২ হাজার টাকা করে দিবে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা গাড়ির মালিক মোঃ ছারোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অতঃপর গাড়িটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ গাড়ির মালিক মোঃ ছারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ড্রাইভার জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মোঃ সুজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রুজুকৃত মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাড়ির ড্রাইভার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় একটি অটোরিক্সা গ্যারেজের পাশ থেকে গাড়ির কেবিনসহ সামনের অংশ, ইঞ্জিন, চেসিসসহ বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। এরপর গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীরের ভাড়া বাসা হতে গাড়ির কিছু অংশ বিশেষ এবং গাড়ির কিছু অংশ বিশেষ অপর আসামী সুজনের ভাড়া বাসা হতে উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, গাড়ির ড্রাইভার জাহাঙ্গীর গাড়িটি বিক্রয় করার জন্য জাল বিক্রয় চুক্তিপত্রও প্রস্তুত করেছিল।
গাড়ির বাকি অংশ উদ্ধার ও অপর আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীরকে কোতয়ালী থানার মামলার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।