1. weeklyekusheynews@info.com : mcc :
  2. info@www.weeklyekusheynews.com : সাপ্তাহিক একুশে নিউজ :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে খুনের ঘটনায় অস্ত্রসহ চারজন গ্রেফতার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১১৬৭ মামলা মহম্মদপুরে পেঁয়াজ সংরক্ষণে এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ: কৃষকদের মুখে হাসি মহম্মদপুর-ঢাকা সড়কের বেহাল দশা: মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে রুইজানি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দ, যানজটে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ ঢাকা জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা মিলব্যারাক, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা: গণতন্ত্রের পথে সম্ভাবনা না কি বৈষম্যের নতুন দরজা? মহম্মদপুরের সাপে কেটে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু অজ্ঞাত তরুণী হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদঘাটনসহ ১৬ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ মহম্মদপুর ফুটবল একাডেমিকে ফুটবল বিতরণ: ক্রীড়াঙ্গনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত চোখে-মুখে লাল কাপড় বাঁধা এবং প্রোফাইল পিকচার লাল করা” কর্মসূচির পেছনের গল্পঃ

হারিয়ে যাওয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন সার্জেন্ট রাকিব

কণা আক্তার,ষ্টাফ রিপোর্টার:
  • Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮৮ Time View

রাজধানীর মহাখালীতে বাসার নিচে খেলতে নেমে হারিয়ে যায় চার বছরের একটি শিশু। হাঁটতে হাঁটতে শিশুটি আবাসিক এলাকা ছেড়ে চলে আসে জনাকীর্ণ সড়কে। একমাত্র সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে যখন তার বাবা মায়ের পাগলপ্রায় অবস্থা, তখন সড়কে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্টের তৎপরতায় মায়ের কোল ফিরে পায় মো. আবু তালহা নামে শিশুটি।
সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সেই ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম মো. রাকিবুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক বিভাগের মহাখালী জোনে দায়িত্বরত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে মহাখালীর সাত তলা বস্তি এলাকার আই পি এইচ মসজিদ সংলগ্ন ভাড়া বাসার নিচে একটি দোকানের সামনে সমবয়সীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল আবু তালহা। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে চলে আসে সে। এ সময় চার-পাঁচজন ব্যক্তি হারিয়ে গেছে বুঝতে পেরে শিশুটিকে সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট রাকিবুল ইসলামের কাছে দিয়ে যায়।
সার্জেন্ট মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি মহাখালী রেল ক্রসিং এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলাম। বিকাল ৪টার দিকে চার-পাঁচজন লোক রেল লাইনের পাশে ওই বাচ্চাকে পেয়ে আমার কাছে নিয়ে আসে। তখন ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারি সে হারিয়ে গেছে। ওর সঙ্গে বাবা-মা নেই। আর এত ছোট বাচ্চা একা এখানে আসতে পারার কথা নয়।
তখন সার্জেন্ট রাকিবুলসহ অন্যান্য ট্রাফিক সদস্যরা আশপাশে ওই শিশুর বাবা-মায়ের খোঁজ করেন। এক পর্যায়ে হ্যান্ড মাইক নিয়ে মাইকিংও করেন। তাতেও শিশুটির পরিবারের কাউকে খুঁজে না পেয়ে আশপাশের তিনটি মসজিদে মাইকিং করা হয়। মসজিদের মাইকে শিশু হারিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শুনে এক ব্যক্তি এসে শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজ দেয়। পরে তার বাবা মা মহাখালী রেল ক্রসিংয়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সার্জেন্ট মো. রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, পুরো সময় আমি শিশুটিকে নিজের কাছেই রেখেছিলাম। তার সঙ্গে খেলাধুলা করেছি, যাতে সে ভয় না পায়। থানায়ও খবর দিয়েছিলাম। কারণ সড়কে দায়িত্ব পালনের বিষয় ছিল। তবে থানা থেকে পুলিশ আসার আগেই শিশুটির বাবা-মাকে আমরা খুঁজে পাই। একমাত্র সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে শিশুটির বাবা-মায়ের বিধ্বস্ত অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ নিয়ে থানার প্রক্রিয়া শেষ করে মায়ের কোলে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শিশুটির বাবা মো. সোহাগ মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারে প্রাইভেটকার চালান। তিনি ঢাকায় একা থাকেন। তার স্ত্রী মোসাম্মৎ জেসমিন আক্তার ও সন্তান গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় থাকেন। মাঝে মধ্যেই তারা ঢাকায় বেড়াতে আসতেন।
সোহাগ বলেন, প্রতিদিন বাসার নিচেই খেলাধুলা করতো তালহা। কিন্তু আজ হঠাৎ বাসার নিচ থেকে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে চলে যায়। সেখানে কয়েকজন নারী ও হিজড়া তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নাকি টানাটানি করছিল। পরে আমার এলাকার কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে সেখানকার সার্জেন্টের কাছে নিয়ে যায়। যদিও তারা আমাকে বা আমার ছেলেকে চিনতো না। পরে রাকিবুল ইসলাম নামে এক সার্জেন্ট আমার ছেলেকে নিজের কাছে রেখে আমাদের খোঁজাখুঁজি করেন। আমরাও মসজিদে মাইকিং করি, তারাও মসজিদে মাইকিং করেন। পরে আমার এক বন্ধু তাদের মাইকিং শুনতে পেরে আমাদের খবর দেয়। আমি ও আমার স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে মহাখালী পুলিশ বক্সে গিয়ে তালহাকে খুঁজে পাই।
দায়িত্বের বাইরে গিয়ে মানুষের সেবায় এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সার্জেন্ট রাকিবুলকে পুরস্কৃত করার কথা ভাবছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, সার্জেন্ট রাকিব খুবই ভালো কাজ করেছেন। এটা তিনি দায়িত্বের বাইরে গিয়ে করেছেন। তার কাজ রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা দেখা, ক্রাইম দেখা নয়। কিন্তু পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে মানুষকে সাহায্য করাও তার ধর্ম। আমরা তাকে পুরস্কৃত করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved weeklyekusheynews.com প্রকাশক ও সম্পাদক মো:হাসানুজ্জামান (সুমন) সাপ্তাহিক একুশে নিউজ অফিস ঠিকানা:- স্বপ্ন সদন এপার্টমেন্ট ৬৭/৬৮ পাইওনিয়ার রোড.(২য় তলা) সেগুনবাগিচা,রমনা,ঢাকা। মোবাইল নং-+৮৮০১৭৯০৫৬১৫৯৭
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং