আজ মঙ্গলবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক পরিকল্পনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ডিএমপির কুইক রেসপন্স টিম (QRT) প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বলেন, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এবার ঢাকা মহানগরীতে ১২২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে থাকে। এসএসসি পরীক্ষা আমাদের জন্য একটা উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট। এই পরীক্ষার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করে থাকি। পরীক্ষার্থীদের যেকোনো অসুবিধা মোকাবিলা করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন কর্তৃক আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত থাকবে।
তিনি আরো বলেন এর পাশাপাশি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
পরীক্ষার হলে রওনা দেয়ার পূর্বে অবশ্যই প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সাথে নিন।
পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থান ভালো করে জেনে নিন এবং আপনার বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে তার পরিস্কার ধারণা নিন।
পরীক্ষা শুরুর পূর্বে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী/অভিভাবকগণকে সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা হতে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষা শুরুর নূন্যতম ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে।
যে সকল সড়ক পারাপারে রেল ক্রসিং আছে তা বিবেচনা করে বাসা হতে সময় নিয়ে রওনা দেওয়া জরুরি। আপনার বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের সড়কে যদি কোন খোঁড়াখুঁড়ি/মেরামত কাজ চলে তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মত রওনা দিতে হবে।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হলো।কোন অবস্থাতেই গণপরিবহনে ঝুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করবেন না।
যে সকল পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে গমন করবেন তারা অবশ্যই নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলমেট পরিধান করবেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীবৃন্দ যানজট বা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকুন, প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন এবং পুলিশের সহায়তা নিন।রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে ব্যবহার করুন।
পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক/পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন পরীক্ষা কেন্দ্র হতে দূরবর্তী নিরাপদ স্থানে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে কেন্দ্রের সামনে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
গত একবছরে মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এগুলো ব্যবহার করেও পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্রুত পৌঁছানো যাবে।
যে কোন জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করুন।
তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে হর্ন বাজিয়ে পরীক্ষার্থীদের বিরক্তির সৃষ্টি না করা এবং বেপারোয়া গতিতে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীকে আহ্বান জানান। সেই সাথে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
ব্রিফিংকালে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার; ট্রাফিক-রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. জয়নুল আবেদীন; ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদ ও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফারুক হোসেন আরোও উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।